ভাসানচরে পৌঁছাল আরো ১ হাজার রোহিঙ্গা
![]()
নিউজ ডেস্ক
উন্নত জীবন-যাপনের আশায় চতুর্থ দফার দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে গেলেন আরো ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নৌবাহিনীর ৩টি জাহাজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসন ব্যবস্থাপনায় থাকা নৌবাহিনী বলছে, বাস্তুচ্যূতদের জন্য এমন সুযোগ-সুবিধা এর আগে আর কোনো দেশ করতে পারেনি। গতকাল সোমবার বিকেলে বাসযোগে এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর তাদের বি এ এফ শাহীন কলেজে রাখা হয়। সেখানে তারা রাত্রি যাপন করে।
এর আগে গতকাল সকালে চতুর্থ দফার প্রথম ধাপে ভাসানচরে যায় ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা। পর্যায়ক্রমে এই ধাপে অন্তত চার হাজার জনকে পৌঁছে দেয়া হবে ভাসানচরে। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় এনিয়ে চার দফায় ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। শিবিরগুলোয় চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।