ভারত যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে : জয়শঙ্কর - Southeast Asia Journal

ভারত যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে : জয়শঙ্কর

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এমন কোনো ইস্যু নেই যে আলোচনা হতে পারে না। দুই দেশের মধ্যে সব ইস্যুতেই আলোচনা হতে পারে। আমাদের মধ্যে সব সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসছেন। করোনাভাইরাসের পরবর্তী সময়ে মোদীর এটাই প্রথম বিদেশ সফর।

জয়শঙ্কর বলেন, আলোচনা করেই যে কোনো ইস্যুতে সমাধানে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ-ভারত। বিশ্বস্ত বন্ধুর মতোই ঢাকার পাশে থাকবে দিল্লি। এসময় তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্তে অপরাধ কমলেই বন্ধ হবে হত্যা।’ সীমান্ত হত্যা বন্ধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘যে কোনো হত্যাকাণ্ডই দুঃখজনক। তবে দেখা গেছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ভারতের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যেই আলোচনা চলছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী অপরাধ। আমরা যদি অপরাধবিহীন সীমান্ত নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধানে দুই দেশ এক হয়েই কাজ করবে।’

তিস্তাসহ অভিন্ন ছয় নদীর পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়। দুদেশের সম্পর্ক এখন এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে যে কোনো ইস্যুতেই আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে আসা সম্ভব। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন দিক থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে, কানেকটিভিটিকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা উচিত বলেও মনে করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও তাই বিশ্বাস করে। এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ-অর্থনীতির পরিবর্তনে বঙ্গোপসাগর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় জাপানকেও পাশে রাখতে চায় ঢাকা-দিল্লি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ট্রানজিট আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই দিকেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে উদযাপন করবে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাইল ফলক গড়বে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সকালে বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বঙ্গবন্ধু এয়ারবেজে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ দিন বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।