সীমান্তবর্তী জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ - Southeast Asia Journal

সীমান্তবর্তী জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে অন্য জেলার তুলনায় করোনা সংক্রমণ ছিল কম। এবার ফেব্রুয়ারির শেষে ও মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শনাক্তের হারও ছিল শূন্য। তবে, এপ্রিলে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত মঙ্গলবার ৪১ জনের করোনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ২৬ জন। শনাক্তের হার ৬৩। সারা দেশে এই হার ৬ থেকে ৮ ভাগ।

এদিকে যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাতক্ষীরাতেও বাড়ছে রোগী। যশোরে ভারতফেরত ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে ৫ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। তবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের হার কেন এত বেশি তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন বৈধ এবং অবৈধ পথে মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শংকা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের মধ্যে সংক্রমণের হারটা অনেক বেশি। এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সিভিল সার্জন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পরিচালকদের বলা হয়েছে যারা ভারত থেকে আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

ভারতফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তবে, সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে যাতায়াত বন্ধ হয়নি। অনেকেই ভারত থেকে ফিরে মিশে যাচ্ছে জনস্রোতে।

এদিকে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লা বলেন, অবৈধভাবে দেশে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে নেয়া যাচ্ছেনা। যার কারণে করোনার ভারতীয় ধরণ শঙ্কা থাকছেই।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরো জানান, বৈধ স্থলবন্দর ছাড়াও দুই দেশের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা। এর সব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এসব পথ দিয়ে অবৈধভাবে দৈনিক বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশে প্রবেশ করছে। এদেরকে যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে।

এ পর্যন্ত নয়জনের শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। সীমান্তবর্তী জেলা ছাড়াও শনাক্তের হার বাড়ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে।

উল্লেখ্য, ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট গত ৫ অক্টোবর প্রথম শনাক্ত হয় মহারাষ্ট্রে। সম্প্রতি এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবারও করোনাভাইরাস মহামারিতে একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে।

ভারতের নতুন ধরনের এই করোনা ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবেই যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য সীমান্ত ১৪ দিনের বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তবে, এরপরও বৈধ ও অবৈধ উপায়ে প্রায় প্রতিদিনই ভারত থেকে ফিরছেন অনেকেই।