আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৭ জনের মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আরো ১৭ জন মারা গেছেন, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ জন। এর আগে গত ১৮ মার্চ করোনায় দেশে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর তা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে, যা এপ্রিলের মাঝামাঝিতে শতকের ঘর ছাড়িয়েছিলো।
এদিকে গত কালও করোনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৫ জন। আগের দিনের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩। আর দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৮। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬ জন। এনিয়ে দেমে এখনো পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।
করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
