করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরো ৭৭ জনের মৃত্যু - Southeast Asia Journal

করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরো ৭৭ জনের মৃত্যু

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সারা দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৮ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৪ হাজার ৫৩ জন।

গতকালের তুলনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা কমলেও, বেড়েছে শনাক্তের হার। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এর আগে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিল ৬০৫৮ জন। তার আগে ১৩ এপ্রিল এক দিনে ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ জনের মৃত্যু হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৫ জন। এতে সুস্থ হয়েছেন মোট ৮ লাখ ৮৫৪ জন।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯ হাজার ৮৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়।

এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।

এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটলে গত ১৫ এপ্রিল মৃতের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটাতে মাত্র দশ দিন সময় নেয় করোনাভাইরাস; মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল।

তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার এক মাস পর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল।

দিনে মৃত্যুর রেকর্ডও হয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে। ১৯ এপ্রিল ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।

শুক্রবার আবার দৈনিক মৃত্যু শত ছাড়িয়ে ১০৮ এ গিয়ে পৌঁছায়। শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।