করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম - Southeast Asia Journal

করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রোববার দেশে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে অবস্থান বাংলাদেশের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জুলাই থেকে আগের এক সপ্তাহ পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এক্ষেত্রে মৃত্যুর দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল ও পার্শ্ববর্তী ভারত। অপরদিকে নতুন রোগী শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, যেভাবে নতুন রোগী বাড়ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিন পর হাসপাতালে শয্যা খালি পাওয়া যাবে না। পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে।

অবশ্য কয়েক দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যা টানা পাঁচদিন পর ৩০ এর নিচে নামল।

গতকাল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়, খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে হারে রোগী বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালে শয্যা, আইসিইউ খালি থাকবে না। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু অনেককে জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। তবে পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যাতায়াত, কোরবানির পশুর হাটে লোকসমাগম বাড়লে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণের গতি ধীর করতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের প্রভাব চলতি সপ্তাহ থেকে দেখা যেতে পারে। তবে শুধু লকডাউন জারি করে সংক্রমণ সাময়িক কমানো গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। তাই লকডাউনের পাশাপাশি পরীক্ষা বাড়িয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইসোলেশন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিন করা, স্বাস্থ্যবিধি বিশেষত শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।