সীমানায় প্রবেশ করায় দুই বাংলাদেশিকে মারধর, বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিন বিঘা করিডোর গেটে ভারতের সীমানার একশ গজ ভেতরে চলে যাওয়ায় দুই বাংলাদেশিকে রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর দুঃখ প্রকাশও করেছে বিএসএফ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) পতাকা বৈঠকের জন্য সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবধরনের চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সীমানার দুপাশে শতাধিক মানুষ আটকা পড়েন।
মারধরের শিকার দুজন হলেন- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩২) ও একই এলাকার রশিদুল ইসলামের ছেলে আল মামুন (৩০)।
৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার দুই বাংলাদেশি যুবক ভুলবশত ভারতীয় তিনবিঘা করিডোর গেট ও সড়ক ট্রাফিক পয়েন্টের বাম দিকের সড়ক হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় একশ গজ ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তিনবিঘা ক্যাম্পের টহল দলের বিএসএফ সদস্যরা ওই দুই বাংলাদেশিকে আটক করে রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে তারা পানবাড়ি চেকপোস্টে গিয়ে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের মারধরের ঘটনা জানায়। বিজিবি তাৎক্ষণিক বাংলাদেশি দুই যুবককে মারধরের প্রতিবাদ করে এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় তিনবিঘা করিডোর গেটের পানবাড়ি অংশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুদফা পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ ও বিজিবি।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, ভারতীয় তিনবিঘা করিডোর ও ভীম ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেয়। এ সময় দুই বাংলাদেশিকে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলেও আশ্বাস দেন। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর তিন বিঘা করিডোর গেট ও সড়ক ছেড়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আলোচনার মাধ্যমে ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর আলোচিত তিনবিঘা করিডোর গেট ২৪ ঘণ্টা জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
