ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫৮ জন হাসপাতালে, আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু
 
                 
নিউজ ডেস্ক
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা।
এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২১২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩৮ জন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন ২৫৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৭ জনে।
ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৮৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৯ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৫ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭ হাজার ৪৫৮ জন। ডেঙ্গুতে এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।
এদিকে, রাজধানীর শিশু হাসপাতালে প্রতিদিনই ঢাকা ও সারাদেশ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মোট আক্রান্তের অন্তত ৮ শতাংশই শিশু। এ মাসেই ৩ শিশুসহ মোট ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে।
জুলাই ও আগস্টের শুরুতে দক্ষিণ ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন উত্তর ঢাকায় বেশি। শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, ডেঙ্গুর হটস্পট এখন মিরপুর। ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মোট আক্রান্তের ৮ শতাংশই শিশু।১৮ বছর পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে আসা বেশিরভাগ শিশুরই অবস্থা থাকে আশঙ্কাজনক। উত্তর ঢাকায় শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬টি এবং দক্ষিণের ৩০টি এলাকা ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরা ও যাত্রাবাড়ি এলাকার। এডিস মশা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জানতে প্রতিবছরই বর্ষার আগে-পরে ও বর্ষা মৌসুমে তিন দফায় জরিপ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে করা হয় মৌসুমী জরিপ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডে ১০০টি এলাকায় জরিপ করা হয় মোট ৩ হাজার স্পটে। দশ দিনের জরিপের ফলাফল বলছে দক্ষিণে ৩০টি এলাকা আর উত্তর সিটির ২৬টি রয়েছে বেশি ঝুঁকিতে।
