৩ মাসে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাবে সরকার - Southeast Asia Journal

৩ মাসে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাবে সরকার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আগামী তিন মাসের মধ্যে ভাসানচরে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করতে চায় সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ ভাসানচর। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সীমানাভুক্ত। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা গত প্রায় চার বছর ধরে কক্সবাজারের অস্থায়ী বসতি গড়ে আছেন। এরইমধ্যে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে কয়েক ধাপে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। দ্বীপটিতে তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বলেন, এর ফলে তারা (জাতিসংঘ) ভাসানচরেও রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট সব বিষয়েই সহযোগিতা করবে। এখন আর কোনো অসুবিধা নেই। আমরা আশা করি, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাবো। সেখানে আপাতত এক লাখ লোকের অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যেভাবে সহযোগিতা করছে, সেটা ভাসানচরের ক্ষেত্রে ছিল না। অথচ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসনের জন্য ভাসানচর প্রস্তুত করেছে।

মো. মোহসীন বলেন, জাতিসংঘ এখন কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার মতো ভাসানচরেও শামিল হয়ে যাবে। এটাই হলো সমঝোতা স্মারকের মূল বিষয়।

তিনি বলেন, এটা (সমঝোতা স্মারক) জাতিসংঘের ভাসানচরকে স্বীকৃতি দেওয়া, যেটা নিয়ে অনেক রকম কথা ছিল। এখন সেটা হয়ে গেলো, ইনশাআল্লাহ্।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক সই হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ত্রাণ সচিব ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও এতে সই করবেন।

মিয়ানমারে সেনা নিপীড়ন, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা-ধর্ষণের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর নতুন করে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাস্তুচ্যুত এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভরণ-পোষণে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীগুলো সহায়তা দিয়ে আসছে। অন্যদিকে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকরে এখনো মিয়ানমার সরকারের কোনো ভূমিকা লক্ষ্যণীয় হচ্ছে না।