পাহাড়ে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, আক্রান্ত শিশুরা
নিউজ ডেস্ক
পাহাড়ে হঠাৎ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে শিশুরা। প্রায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে। শয্যার তুলনায় রোগীর ভিড় থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, পাহাড়ে শীত না থাকলেও ঠান্ডাজনিত রোগ অর্থাৎ সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেলো এক মাসে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগী ভর্তি হয়েছে কয়েকগুণ। ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকলে রোগী ভর্তি আছে ১৭০ জনের অধিক। আর প্রতিদিন ভর্তি রোগীর চাপ লেগেই আছে। তাই বাধ্য হয়ে সিট না পেয়ে অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ৭০ জন শিশুকে, যা ধারণ ক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি। ওয়ার্ডের মেঝেতে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী বেড।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর চৌধূরী জানান, গত একমাস ধরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। সবার বয়স এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে। ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর কারণে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। তাই হাসপাতালের মেঝেতেই দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। অতিরিক্ত রোগীর চাপের মধ্যে চলছে চিকিৎসা সেবা। বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ৩১ চিকিৎসকের বিপরীতে আছে মাত্র ১৮ জন। এ ১৮ জন চিকিৎসক দিয়ে পুরো জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
তবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগিতা থাকায় তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এ সাধারণ ফ্লু ভাইরাস কারো মৃত্যু ঘটায়নি। চিকিৎসায় ভাল হচ্ছে রোগীরা। অন্যদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কতজনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য জানাতে পারেনি রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন। শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নেই কোনো তথ্য।
রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, এ বিষয়গুলো আমার ভালভাবে দেখার সুযোগ হয় না। কারণ আমি সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়ক। তবে আমার জানা মতে গত শনিবার শিশু ওয়ার্ডে ২০টি বেডের বিপরীতে ৫০ জন রোগী ভর্তি ছিল। চিকিৎসা সেবা চলছে। এটা শুধু রাঙামাটিতে নয়, বাংলাদেশের সব খানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাভাবিকভাবে রোগ বেড়ে যায়।