খাগড়াছড়িতে মং সার্কেলের রাজ পূণ্যাহ শুরু
 
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হেডম্যান-কার্বারীরা আঞ্চলিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীদের প্রভাবে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন না। অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের পাশাপাশি প্রথাগত এই অধিকার সমুন্নত রাখে কাজ করার জন্য সার্কেল প্রথার এই স্তর কাঠামোর দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আহবান জানান খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
শুক্রবার সকালে মং সার্কেল কার্যালয় প্রাঙ্গণে তিন দিন ব্যাপী ৭ম রাজপূণ্যাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, সকালে ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিচ্ছেদ ও আবহে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে রাজপূণ্যাহস্থলে আগমন করেন মং সার্কেলের চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী।
পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরী সহ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, হেডম্যান-কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে হেডম্যান, কার্বারী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মং সার্কেল চীফকে সম্মানসূচক ঐতিহ্যবাহী নাজরানা উপঢৌকন প্রদান করেন। রাজ পূণ্যাহ উপলক্ষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রাজপুণ্যাহর দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় অনুষ্ঠানে মং সার্কেল প্রধান রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী দিনভর ৮৮টি মৌজার প্রধান বা হেডম্যান এবং ৭০১ পাড়াপ্রধানের (কার্বারি) কাছ থেকে খাজনা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন নেবেন। এছাড়া হেডম্যান ও কার্বারিদের সঙ্গে দিনব্যাপী মতবিনিময় করবেন রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী।
রাজপুণ্যাহর তৃতীয় দিন রোববার নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান থাকবেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মং রানী উখ্যেংচিং মারমা চৌধুরী। আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
