পার্বত্য চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বন, প্রাকৃতিক পানির উৎস ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে পরিবেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ২২ জনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে সংশ্লিষ্ট আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট পিটিশন আবেদন করেন আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে জানতে চাওয়া হয়, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা ইকো-সিস্টেম, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ , প্রাকৃতিক জলধারার প্রবাহ এবং জলের উৎস ব্যবস্থাপনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধান ১৯০০-এর অধীনে পাড়া সংরক্ষিত বন বা মৌজা বন পরিচালনার জন্য কেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না।
রুলে তিন সচিবসহ প্রধান বন সংরক্ষক, চেয়ারম্যান-বান্দরবান-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক বান্দরবান-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি, বন সংরক্ষক রাঙ্গামাটি, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বান্দরবান-লামা-কাপ্তাই-পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগ বান্দরবান, খাগড়াছড়ি-উত্তর-দক্ষিণ বন বিভাগ ও ইউএসএফ রাঙ্গামাটি, জুম কন্ট্রোল ফরেস্ট ডিভিশন রাঙ্গামাটি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয়।
আবেদনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী ড. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আবেদনকারী তার রিট পিটিশনে ‘দ্য চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ফরেস্ট ট্রান্সজিট রুলস ১৯৭৩-এর ৯ বিধির’ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। আইনজীবী উবাথোয়াই মারমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন রুলে ২২ বিবাদীকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন।