ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা পুতিনের, আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের প্রতিক্রিয়া
নিউজ ডেস্ক
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন। সেগুলো হল- ডোনেটস্ক এবং লুহানস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে অঞ্চল দুটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি সংক্রান্ত ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
পুতিনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ও ন্যাটো জোট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ, ব্যবসা বা অন্য কোনও ধরনের লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তার এ সংক্রান্ত নির্দেশে বলা হয়েছে, যেকেউ এই নির্দেশ লঙ্ঘন করবে তাকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিষয়টি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎসের সঙ্গে আধাঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই তিন পশ্চিমা নেতা প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত তা নিয়ে কথাবার্তা বলেন।
একজন পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মঙ্গলবার বাইডেন আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারেন। তবে তিনি দাবি করেন, আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে ‘কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এগুলো তা নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সোমবার রাতের ভাষণকে ‘আসন্ন যুদ্ধের ব্যাখ্যা’ আখ্যায়িত করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ট্যাংকগুলো চলতে শুরু না করছে ততক্ষণ ওয়াশিংটন কূটনীতির পথ হাঁটা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা এবং একইসঙ্গে জাতিসংঘ ঘোষণার পরিপন্থী। তিনি সব পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমন ও কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে জবাব দেবে। এছাড়া ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ঘোষণা করে বলেছেন, এর ফলে পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে ফেলবে।