মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র
![]()
নিউজ ডেস্ক
অবশেষে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নিপীড়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পেয়েছে বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র।”
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এক অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই আনুষ্ঠানিক অবস্থানের ঘোষণা দেবেন।
আর এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।
এবিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা নির্যাতনকে দ্রুত গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ১৪ মাস পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে মিয়ানমারে সহিংসতার বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সফরের সময় তিনি বলেছিলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণ গণহত্যা কি না, তা খুবই সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র”। তবে, এর আগে বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম সে দেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলছে। দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ২০১৯ সালে মামলাটির প্রাথমিক শুনানি শুরু হয়। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।