৩৩ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বান্দরবানের শুকনাঝিরি পাড়ায়
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সদর উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ড শুকনাঝিরি পাড়া। ৩৩ বছর আগে ১৭ তঞ্চগ্যা পরিবার নিয়ে বসতি শুরু হয় এ পাড়ায়। সদর থেকে পাড়াটির দূরত্ব মাত্র আট কিলোমিটার। তবে তিন দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ পাড়ায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুকনা মৌসুমে পাহাড়ের উঁচু-নিচু মেঠোপথ ও ঝিরি বেয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। তবে বর্ষাকালে যাতায়াব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। পার্শ্ববর্তী কোনো স্কুল না থাকায় ঝিরিপথে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয় পাড়ার শিশুদের। বর্ষা মৌসুমে মাটির পাহাড়ি রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও ঝিরিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। পাড়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পায় না। এজন্য গুটিকয়েক মোবাইল ফোন থাকলেও সেগুলো সাপ্তাহিক রোয়াংছড়ি বাজারে দিন ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সদর উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ড শুকনাঝিরি পাড়া। ৩৩ বছর আগে ১৭ তঞ্চগ্যা পরিবার নিয়ে বসতি শুরু হয় এ পাড়ায়। সদর থেকে পাড়াটির দূরত্ব মাত্র আট কিলোমিটার। তবে তিন দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ পাড়ায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুকনা মৌসুমে পাহাড়ের উঁচু-নিচু মেঠোপথ ও ঝিরি বেয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। তবে বর্ষাকালে যাতায়াব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। পার্শ্ববর্তী কোনো স্কুল না থাকায় ঝিরিপথে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয় পাড়ার শিশুদের। বর্ষা মৌসুমে মাটির পাহাড়ি রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও ঝিরিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। পাড়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পায় না। এজন্য গুটিকয়েক মোবাইল ফোন থাকলেও সেগুলো সাপ্তাহিক রোয়াংছড়ি বাজারে দিন ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।
শুকনাঝিরি পাড়ার প্রধান নীল বরণ তঞ্চঙ্গ্যা। তার বাবা পাড়াপ্রধান ছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তিনিও বর্তমান পাড়াপ্রধান। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন সড়কের অভাবে পাড়াবাসীর যাতায়াতে দুর্ভোগ।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরাজীর্ণ মাচাং ঘরে বসবাস করেন তারা। কলাচাষ করে যা আয় হয় তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চলে। এত মানবেতর জীবনযাপন করলেও তারা সরকারি সহায়তা পান না।
নীল বরণ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘সরকার জনগণের জন্য অনুদান দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছুই পাননি এই পাড়ায় বসবাসকারীরা। সর্বশেষ সরকারিভাবে কম দামে পণ্য পেতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হলেও পুরো পাড়ায় মাত্র ৯ জন পেয়েছে এই কার্ড।’
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ির সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহ্লা অং বলেন, জনগণ এই প্রথম আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। তবে ওয়ার্ড মেম্বাররা শুকনাঝিরি পাড়াবাসীর কষ্টের কথা আমাকে জানাননি। সুযোগ পেলে তাদের জন্য যতটুকু করা সম্ভব করবো।
