খাগড়াছড়িতে কুরিয়ারের চালকসহ ২ জন অপহরণ, উদ্ধার হয়নি তিন দিনেও
নিউজ ডেস্ক
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের চালক এবং তাঁর একজন সহযোগীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ৩ দিন পার হতে চললেও অপহৃতদের উদ্ধারে প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনসহ কারও কোনো তৎপরতা নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁদের স্বজনেরা।
গত শনিবার রাত ১০টায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথ খামার এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সংগঠনটি অপহৃতদের মুক্তির বিনিময়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে।
অপহৃতরা হলেন কাভার্ডভ্যানচালক মো. আব্বাস (২৯)। তিনি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন থানার উত্তর চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের রানার মো. আল আমিন (২৬)। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার ইয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা।
অপহরণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও গাড়ির সঙ্গে থাকা হেলপার মো. সোলায়মান বলেন, ‘আমরা মালামাল ডেলিভারি দিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ফিরছিলাম। রামগড়ের যৌথ খামার এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী মোটরসাইকেলে এসে ঢাকা মেট্রো-উ ১৪-১৪০৭ কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে চালক ও রানারকে জিম্মি করে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। তবে আমাকে ঘটনাস্থলে রেখে যায়।’
এদিকে তাদের উদ্ধারের খবর না পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বজনেরা। অপহৃত আব্বাসের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘অপহরণের ৩ দিন পার হয়ে গেলেও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আব্বাসের স্ত্রী এবং সন্তানেরা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। পরে নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করলে খাগড়াছড়ি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আজ সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে অপহৃতদের ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খাগড়াছড়ির শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ইউপিডিএফ মূল দলের অস্ত্রধারীরা তাদের গাড়ির চালক ও রানারকে অপহরণ করে প্রথমে ৩ লাখ টাকা পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন মন্তব্য করেন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। খবর পেয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। জেলা এবং উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে শুধুমাত্র জব্দকৃত কাভার্ডভ্যানে থাকা যাত্রীদের ডকুমেন্টস থানা থেকে নিতে এসেছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ও বিজিবি কয়েক দফা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’