ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ: শাহবাজের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অনীহা পিপিপির - Southeast Asia Journal

ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ: শাহবাজের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অনীহা পিপিপির

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মন্ত্রিসভা গঠনে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। দ্য নিউজের বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছ জিও নিউজ।

মন্ত্রিসভা গঠনে জোটের শরিকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন শাহবাজ। ইতিমধ্যে পিপিপি নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সভাপতি ও জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (ফজল) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) নেতারা, বিএপি-মেঙ্গালের প্রধান সরকার আখতার মেঙ্গাল, বিএপির সংসদীয় দলের নেতা খালিদ মাগসি, জমহুরি ওয়াতান পার্টির প্রধান শাহজেইন বুগতি এবং স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতা আসলাম ভুটানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন প্রধানমন্ত্রী জনগণের সব সমস্যা ঐক্য, সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থার মাধ্যমে সমাধানে তাঁর সংকল্প ব্যক্ত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় অংশ নিতে অনিচ্ছুক পিপিপি। তার চেয়ে জাতীয় পরিষদে সরকারদলীয় আইনপ্রণেতা হিসেবে তারা সরকারকে ভালোভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। সূত্রমতে, দলটির একাংশ জোট শক্তিশালী করতে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার পক্ষে। তবে অপর অংশ তার চেয়ে দ্রুত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী সংস্কারের ওপর দলের জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন। কয়েক দিনের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

সূত্রগুলো বলছে, পিপিপি পার্লামেন্টের সাংবিধানিক দপ্তরের দায়িত্ব নিতে বেশি আগ্রহী। দ্বিতীয় ধাপে দলটি মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চায়। স্পিকার পদে রাজা পারভেজ আশরাফ ও সৈয়দ নাভিদ কামারকে প্রার্থী করার বিষয়ে দলে ঐকমত্য রয়েছে। তাদের দাবি, আশরাফ শক্তিশালী প্রার্থী। অন্যদিকে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (ফজল) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ছেলে মাওলানা আসাদ মেহমুদ ডেপুটি স্পিকার হতে পারেন।

সূত্রমতে, জারদারি ও বিলাওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রিসভায় পিপিপির অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন শাহবাজ। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তাঁকে জানিয়েছেন জারদারি।

এ সময় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন জারদারি। সবার অংশগ্রহণমূলক ও সহনশীলতার রাজনীতির ওপর জোর দেন তিনি। সরকার প্রতিশোধের রাজনীতি করছে এমন ধারণা তৈরি হলে তা সরকারের জন্য ভালো হবে না বলে মনে করেন তিনি।
ইমরান খান যা-ই করতে চান, তাঁকে সেটা করতে দিতেও শাহবাজকে পরামর্শ দেন জারদারি। কারণ, ইমরানের বিরুদ্ধে সরকারের যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ তাঁকে ‘নায়ক’ বানিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন এই পিপিপি নেতা। অবশ্য এর আগে সংবিধান লঙ্ঘন করায় সাবেক স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বিরোধীদলীয় নেতা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় সরকারের আদলে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন তিনি। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।