বান্দরবানে বর্ণিল আয়োজনে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব - Southeast Asia Journal

বান্দরবানে বর্ণিল আয়োজনে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সাংগ্রাই উৎসবের শেষ দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। শঙ্খ নদের চরে আয়োজন করা হয়েছিল মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। গত চার দিন ধরে নানা আয়োজনে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছর বরণ করেছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ। বর্ণিল আয়োজনে উৎসবে মাতোয়ারা মারমা সম্প্রদায়। উৎসবের মূল আকর্ষণ মৈত্রী পানিবর্ষণ দেখতে স্থানীয়রা ছাড়াও আগমন ঘটে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। কয়েক জন বিদেশি পর্যটক পানিবর্ষণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেন।

গতকাল বিকালে নদের চরে কয়েক ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত হয় এই মৈত্রী পানিবর্ষণ প্রতিযোগিতা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, সঙ্গে ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজী। ‘হিংসা-বিদ্বেষ দূরে থাক, শান্ত সবুজ গিরি ছায়ায়, সব কালিমা মুছে যাক মৈত্রীময় জল ধারায়’—স্লোগানে উদ্যাপিত হয় পানিবর্ষণ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় তরুণ-তরুণীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনা করেন। মূলত সাংগ্রাইর দ্বিতীয় দিনে ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধস্নান। বুদ্ধস্নানের পরই বয়জ্যেষ্ঠসহ একে অপরকে পানিতে ভিজিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। নতুন বছরে সবাই নতুনভাবে চিন্তা করে, নতুনভাবে কাজ শুরু করে এবং নিজেদের আগামী দিনগুলোতে শুদ্ধভাবে গড়ে তোলার শপথ নেয়। আগত কয়েক জন পর্যটক বলেন, জলকেলি উৎসব দেখার জন্য আমরা অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি। তারা বলেন ‘এত উচ্ছ্বাস, এত কালারফুল আয়োজন, এ এক অসাধারণ অনুভূতি।’

পানি খেলায় আগে থেকেই কমিটিতে নাম লিখিয়ে নিতে হয়। প্রতিটি দলে থাকে ১৫-২০ জন। মেয়ে ও ছেলেদের দল দুটি পানিভর্তি নৌকার দুই দিকে মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। ছেলেদের দল প্রথমে মেয়েদের মুখে পানি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েরা ছেলেদের প্রতি পালটা পানি ছুড়তে শুরু করে। প্রচণ্ড গতিতে আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে পানি ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। চার ধারে হাজারো মানুষ উপভোগ করেন মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। পানি খেলা চলাকালে কোনো তরুণ-তরুণী প্রতিদ্বন্দ্বীর নিক্ষিপ্ত পানিতে বাধা দিলে কিংবা মুখের পানি হাত দিয়ে মুছে ফেললে নিয়মানুযায়ী তাকে পরাজয় মেনে নিতে হয়।