পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার মানুষকে মারার জন্য ছয়জনের ফাঁসি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
ধর্মনিন্দার অভিযোগে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে পিটিয়ে মারা হয়। আদালত সেজন্য ছয়জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে। সাতজনের দিয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
গত ডিসেম্বরের এই ঘটনায় ৬৭ জনকে দুই বছর জেলে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। শুধুমাত্র একজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ন্থা কুমারা সিয়ালকোটে একটি কারখানায় ম্যানেজার ছিলেন। সেখানে এক দল কর্মী তার বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দার অভিযোগ করে। তাদের অভিযোগ ছিল, তিনি কিছু ইসলামিক স্টিকার অপবিত্র করেছেন।
কী হয়েছিল?
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে, একদল মানুষ কুমারাকে বেধড়ক মারে এবং তারপর তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রচুর ভিডিও ও ছবি ছিল। প্রচুর সাক্ষীও আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। একজন মানুষ কুমারাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
পাকিস্তানে ধর্মমিন্দার দায়ে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। গত জানুয়ারিতে একটি পাকিস্তানি আদালত ২৬ বছর বয়সি এক নারীকে একটি সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ক্যারিকেচার পোস্ট করার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাব প্রদেশের খান্ডেলওয়ালে একজন মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। তার বিরুদ্ধে কোরান পোড়াবার অভিয়োগ ছিল।
তবে পাকিস্তানের ভিতরে ও বাইরে সমালোচকরা অভিযোগ করেন, এই আইনে যথেষ্ট অস্পষ্টতা আছে। আর এই আইন অনেক সময় দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়।
