বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় কমেছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি - Southeast Asia Journal

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় কমেছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে কমে গেছে দেশটির পেঁয়াজ রপ্তানি। যদিও বাংলাদেশে রপ্তানি কমার কারণ হিসেবে ভারতীয় গণমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস বলছে, দেশীয় উৎপাদনকারীদের উৎসাহ দিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপরে ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। আর এতেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি কমে গেছে ভারতের। অপরদিকে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাও।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভারতীয় পেঁয়াজের সবথেকে বড় বাজার। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, শ্রীলঙ্কায় পেঁয়াজ পাঠালে তার দাম পেতে দেরি হচ্ছে। এ কারণে সেখানে রপ্তানি থামিয়ে দিয়েছেন তারা।

১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সবথেকে বড় অর্থনৈতিক সংকট চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। গত বছর পাঠানো পেঁয়াজের দামও পাননি অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে সপ্তাহে পেঁয়াজ রপ্তানি ৪-৫ হাজার টন থেকে কমে দেড় হাজার টনে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশের বিষয়ে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার দেশীয় পেঁয়াজ চাষকে উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানির ওপরে কর আরোপ করেছে। এতে প্রতি কেজি পেয়াজে ২.৮০ টাকা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের একাধিক নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দাম দেখা গিয়েছিল। এরপরই বাংলাদেশ সরকার দেশীয় পেঁয়াজকে উৎসাহিত করতে নানা ব্যবস্থা নেয়। বাংলাদেশের প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ টন পেঁয়াজ লাগে প্রতি বছর। এর বেশিরভাগই ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল, তখন বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে পাকিস্তান, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। এখন ওই বাজারকে আবারও ফেরত পাওয়া ভারতের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। হিসাব বলছে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ভারত ২১.৮ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে। যা ২০২০-২১ মৌসুমে কমে ১৫.৭৫ লাখে নেমে এসেছে। ২০২১ অর্থ বছরে ভারত প্রায় ৩৮ কোটি ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করে, যার ১০ কোটি ডলার আসে বাংলাদেশ থেকেই। এছাড়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের বড় ক্রেতা।