চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা - Southeast Asia Journal

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সরকারি তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনাটি দেড় মাস আগের।

আসামিরা হলেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম (৫০), খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির (৪৫), সুন্দরপুর উপজেলার আনসার কমান্ডার মুহাম্মদ এয়াকুব আলী (৬০)। এ মামলায় আরও এক নারী গৃহকর্মীকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মো. হুমায়ুন কবির আগে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম ও খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের বাসা ফটিকছড়ি থানার দক্ষিণ রাঙামাটিয়ায়। তিন থেকে চার মাস আগে তাঁদের বাসায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেন ওই নারী। গত ২৭ মার্চ বেলা তিনটায় মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম ওই নারীকে দই খাওয়ার জন্য বাসায় যেতে বলেন। যাওয়ার পর সায়েদুল ইসলাম তাঁকে টানাহেঁচড়া করে মো. হুমায়ুন কবিরের কক্ষে ঢুকিয়ে ফেলেন। দুজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। আর মুহাম্মদ এয়াকুব আলী ও আরেক নারী গৃহকর্মী দরজার বাইরে পাহারা দেন।

ওই নারী বলেন, ঘটনার পর তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে। কাউকে বলতে নিষেধ করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম আরেক আনসার কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁকে ২০ হাজার টাকা দেন।

অভিযোগের বিষয়ে মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তখন থেকেই উপজেলার কিছু রাজনৈতিক পক্ষ তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছিল। এখন ওই নারীকে দিয়ে মামলা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ধর্ষণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ওই নারী তাঁদের বাসায় কাজ করতেন। কিন্তু এক বছর আগে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। তাঁর আচরণ ভালো ছিল না। এখন তাঁদের ফাঁসাতে ওই নারীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশের তদন্তে বিস্তারিত বের হয়ে আসবে। আর আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হবে।

জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।