দেশে ফিরতে চান পিকে হালদার - Southeast Asia Journal
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে ফিরতে চান কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)। ভারতে গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা আদালত। সংবাদমাধ্যম সমকালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এরপর ভারতের ডিরেক্টরেট অফ এনফোর্সমেন্ট (ইডি) ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, পিকে হালদারকে আরও ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর পিকে হালদার দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে প্রথম দিনের রিমান্ডের পর রবিবার তিনি অনেকটাই সামলে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ ১৬ মে মেডিকেল চেকআপ শেষে ইডি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার দেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংবাদমাধ্যম সমকালের পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি শুভজিৎ পুততুন্ড।

তিনি জানান, পি কে হালদার এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে। আমি দেশে ফিরতে চাই।”

হেফাজতে থাকা আসামিদের প্রতি ২৪ ঘণ্টায় চেকআপ করা বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম অনুযায়ী আজ পি কে হালদারের মেডিকেল চেকআপ করা হয়। চেকআপ শেষে ফেরার পথে তাকে অনেকটাই সুস্থ দেখা গেছে।

এর আগে, ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নাম পাল্টে “শিবশঙ্কর হালদার” পরিচয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ভারত সরকারের তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তার বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা মূল্যবান সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে। একইসঙ্গে কলকাতা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে।