খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চা–দোকানির মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় এক ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মেরুং-মারিশ্যা সড়কের ছোট হাজাছড়া ডেবারপাড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৫২) বীরবাহু কারবারি পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ছোট মেরুং বাজারের মাইনী সেতুর পশ্চিম পাড়ে তাঁর একটি চায়ের দোকান ছিল।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম দোকান থেকে প্রতিদিন গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে না ফেরায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আজ সকালে ছোট হাজাছড়া ডেবারপাড় এলাকার সড়কের ওপর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেন।
নিহত ব্যক্তির শ্বশুর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাত।’

সরেজমিন ছোট হাজাছড়া ডেবারপাড় এলাকায় দেখা যায়, ছোট মেরুং-মারিশ্যা সড়কে জাহাঙ্গীর আলমের মাথাবিহীন লাশটি পড়ে আছে। পাশে পলিথিনের ব্যাগে আলু, ছোলা ও বিস্কুটের প্যাকেট ছিল। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলের পাশের লেকে বিছিন্ন মাথাটি খুঁজতে জাল টানছে। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেটি পাওয়া যায়নি।
বীরবাহু কারবারি পাড়ায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩০) স্বামী খুন হওয়ার খবরে বিলাপ করতে করতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁদের তিন মেয়ে। বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ও মেজ মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ের বয়স দেড় বছর। স্বামীর চা দোকানের আয়েই সংসার চলত। এখন সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জবাই করা ছাড়া নিহত ব্যক্তির শরীরে আর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা বলেন, কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।