সৌদি আরব যেতে চান বেশিরভাগ রোহিঙ্গা - Southeast Asia Journal

সৌদি আরব যেতে চান বেশিরভাগ রোহিঙ্গা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশে আশ্রয়রত প্রতি তিনজনে একজন অর্থাৎ ৩৩ ভাগ রোহিঙ্গা জানিয়েছে, মিয়ানমার ছাড়া অন্য বিকল্প কোনো দেশে যাওয়ার সুযোগ হলে তারা সৌদি আরবে যেতে চান। কানাডা আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক ২১ ভাগ রোহিঙ্গা। অস্ট্রেলিয়া যেতে চান ১৬ ভাগ। তবে ১২ ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আর মিয়ানমার ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পের কথা বিবেচনায় নিতেই আগ্রহী নন।

চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনা করেছে ‘এক্সচেঞ্জ’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গতকাল এক প্রতিবেদনে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, কক্সবাজারে আশ্রিত ১২৭৭ রোহিঙ্গার ওপর এ জরিপ পরিচালনা করেছে।

তাতে শুধু বিকল্প দেশের বিষয়টিই নয়, একইসঙ্গে রোহিঙ্গারা মতামত দিয়েছেন তাদের বাসস্থান, শিক্ষার সুযোগ, যৌন নির্যাতন, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াসহ বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েও। কক্সবাজারে তাদের সাময়িক বাসস্থানের প্রশ্নে জরিপে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গাদের ১০ জনের ৪ জন ক্যাম্পে তাদের থাকার জায়গা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ১০ জনের ৬ জন অসন্তোষ বা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের ৯৩ ভাগই মনে করেন, কক্সবাজারে ক্যাম্পের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর।

৯৭ ভাগ রোহিঙ্গাই ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবার পর্যাপ্ত সুবিধা আছে বলে জানিয়েছেন? কিন্তু ৪৭ ভাগ জানিয়েছেন, ক্যাম্পে তারা বাড়ির মতো অনুভব করেন না। আরেক প্রশ্নে ৯৯ ভাগ রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, ক্যাম্পে ১২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কিশোর বা বয়স্কদের উচ্চশিক্ষার কোনো সুযোগ নেই। মসজিদ, মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ৯৯ ভাগ। ৯৯.৮ ভাগ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ক্যাম্পে তারা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।

চারজনের একজন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৭৯.৮ ভাগ বলেছেন, তারা রাস্তাঘাটে এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন। ১৯.৭ ভাগ জানিয়েছেন, ক্যাম্পের বাজারগুলোয় বেশি যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে? ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৮.৭ ভাগ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে তারা অবগত।

কিন্তু মাত্র ১.৬ ভাগ সেখানে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখছেন। ৯৮.৪ ভাগ সেখানকার পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নিজেদের বাসভূমি মিয়ানমার থেকে দূরে যেতে হবে বলে কক্সবাজার ছাড়তে রাজি নন। আগামী দুই বছরের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ৬৯ ভাগই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাদের ৯৩ ভাগই এখনো সেখানে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তবে ৭৩ ভাগ রোহিঙ্গা মনে করেন, সেটি অন্তত দুই বছরের মধ্যে সম্ভব নয়?

You may have missed