অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্রথম আলোর মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পিসিসিপির নিন্দা
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং প্রথম আলো কর্তৃক প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছে। পিসিসিপি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সরকারকে বম জাতিগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পিসিসিপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দীন প্রেরিত এক বার্তায় বলা হয়, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সচেতন জনগণ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্রথম আলোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ভবিষ্যতে তারা যেন বিভ্রান্তিমূলক, মিথ্যা বা বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দেওয়ার ধরনের বিবৃতি না দেয়, সেই আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংগঠনটি উল্লেখ করেছে, কেএনএফ-এর মতো সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম, মায়ানমারের আরাকান ও ভারতের আসাম-ত্রিপুরা প্রদেশে স্বাধীন কুকি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এটি কেবল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্যই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। পিসিসিপি আরও জানিয়েছে, কেএনএফ পার্বত্য এলাকার কিছু পরিবারকে জোরপূর্বক বা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দলে নিয়েছে এবং পাশ্ববর্তী একটি দেশ তাদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও রাজনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে।

পিসিসিপি সরকারের চলমান অভিযানকে যৌক্তিক ও সঠিক বলে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রশাসনের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, কোনো নির্দিষ্ট জাতির বিরুদ্ধে নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে এবং আশা করছে সরকার শান্তিচুক্তির বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ নির্মূল করবে।
পিসিসিপি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্রথম আলোকে আহ্বান জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে। সংগঠনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসন কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।