আমাদের অস্তিত্ব বিলোপের চেষ্টার কী বাকি রেখেছেন- সরকারকে প্রশ্ন সন্তু লারমার - Southeast Asia Journal

আমাদের অস্তিত্ব বিলোপের চেষ্টার কী বাকি রেখেছেন- সরকারকে প্রশ্ন সন্তু লারমার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের স্বার্থ দেখেনি। বরং তাদের অস্তিত্ব যাতে বিলুপ্ত হয়, সেই চেষ্টাই করে গেছেন শাসকেরা। এখন সেই চেষ্টার আর কতটুকু বাকি আছে, সেই প্রশ্ন করেছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সংগঠনের এই নেতা।

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। সে উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে এ কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। এবারের আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রথাগত জ্ঞান সংরক্ষণ ও প্রসারে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা’।

সরকারি হিসাবে, দেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা সাড়ে ১৬ লাখের বেশি।

আজ বক্তৃতায় সন্তু লারমা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সাম্প্রদায়িক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সন্তু লারমা বলেন, সরকার উন্নয়নের গালভরা বুলি দিচ্ছে। কিন্তু পাহাড়ি বা সমতলে উন্নয়ন কার জন্য হচ্ছে? উন্নয়নের নামে আসলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার চেষ্টাই চলছে। পাহাড়ের রাস্তাঘাট করা হচ্ছে পর্যটনের জন্য। এতে পাহাড়ি মানুষের কোনো স্বার্থ নেই।

জেএসএস সভাপতি সন্ত লারমা বলেন, ১৯৭২ সালে যখন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেখানেই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অধিকার হরণের এই প্রক্রিয়া এখনো চলছে।

দুই দশকের সশস্ত্র লড়াই শেষে ১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করে সন্তু লারমার দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সেই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে নানা সময় হতাশার কথা বলেছেন জেএসএসের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমা। আজও তিনি বলেন, সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি শুধু নয়, কোনো আন্তরিকতাও দেখাচ্ছে না। সন্তু লারমা বলেন, ‘আপনারা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন। এর আগেও ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কার্যকর কিছু করেননি।’