ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিতদের জন্য পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে আলাদা সেল গঠনের দাবি
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিতদের উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা সেল গঠনসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত নেতৃবৃন্দ।
৯ মে বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সরকারি সেবাসমূহে অর্ন্তভুক্তি’ বিষয়ক এক অ্যাডভোকেসি সভায় এসব দাবি জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত নেতারা।
সম্প্রতি টিআইবির উদ্যোগে পরিচালিত ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত জনগোষ্ঠী : অধিকার ও সেবায় অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এই অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংগঠনের নেতা সঞ্জীব দ্রং, রবীন্দ্রনাথ সরেন, অভিযানের নির্বাহী পরিচালক বনানী বিশ্বাসসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা শ্রমিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেসি সভায় টিআইবির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য ইতোপূর্বে পেশ করা ১৩ দফা সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা শ্রমিক প্রতিনিধিরা আরও কিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো- সরকারি কর্ম কমিশনের প্রশিক্ষণ নীতিমালায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিতদের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, তাদের পৃথক ব্যাংক ঋণ নীতিমালা গ্রহণ করা, রাষ্ট্রীয় গেজেট তালিকায় বাদ পড়াদের তফসিলভুক্ত করা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও সম্পদ দখলের মামলাসমূহ দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা, সংসদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিতদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা, চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধ করা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন সরকারি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা, সমতলের বসবাসকারীদের জন্য অর্থসহায়তা আরও বৃদ্ধি করা, চা শ্রমিকদের লিখিত স্বীকৃতি প্রদানসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি।