বারি কমলা-২, বদলাতে পারে পাহাড়ের কৃষকদের ভাগ্য - Southeast Asia Journal

বারি কমলা-২, বদলাতে পারে পাহাড়ের কৃষকদের ভাগ্য

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকদের নতুন গবেষণার ফল বারি কমলা-২। ২-৩ বছর আগে বারি কমলা-২ নামে একটি নতুন কমলার জাত উদ্ভাবন করেছেন তারা। গাঢ় হলুদ রঙের এ কমলা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই খেতেও সুস্বাদু। বাংলাদেশে কমলার চাষ প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম হলেও বারি কমলা-২ এর বাগান কমলা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। দেশের প্রয়োজন মেটাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিদেশ থেকে কমলা আমদানি করতে হয়। তবে কৃষি গবেষকরা দেশে কমলার চাষ বাড়ানোর লক্ষ্যে গবেষণা করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এই কমলার চাষ করে পাহাড়ের কৃষকরা তাদের ভাগ্য বদলাতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, প্রায় ২-৩ বছর আগে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এই জাতের কমলার উদ্ভাবন করে। এই কমলা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী। নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীর চাইনিজ জাতের এই কমলা কৃষকরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষাবাদ করলে পাহাড়ে বারি কমলা-২ অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিতি পাবে।

‘বারি কমলা-২ বা চাইনিজ কমলা বৈশাখ অর্থাৎ মে-জুনে রোপণের সময়। তবে পাহাড়ে নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা করা গেলে বছরের অন্য সময়েও এই জাতের কমলার চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ২ থেকে ৩ বছরে মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। সঠিকভাবে যত্ন ও পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে ৫০০-৬০০টি কমলা পাওয়া যায়। এই কমলা ফলের গাছের ডাম্পিং অফ, গ্রিনিং, গামোসিস রোগের সংক্রামণ বেশি। কমলা গাছ গামোসিস রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে। এছাড়া বাগানে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বাগানের পোকা দমন করা যায়। তবে পাকার সঙ্গে সঙ্গে ফল সংগ্রহ করতে হবে’ বলেও জানান তিনি।

গবেষকরা মনে করছেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ, সুস্থ চারা ও প্রয়োজনীয় যত্নের মাধ্যমে এই জাতের কমলার বাণিজ্যিক চাষে বদলাতে পারে পাহাড়ে ক্ষুত্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্য।

You may have missed