ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে বান্দরবানে পিসিসিপির বিক্ষোভ
![]()
নিউজ ডেস্ক
ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তিন সাধারণ পাহাড়ি যুবকের হত্যার সুবিচারের দাবিতে বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকেল ৪টায় বান্দরবান সদরস্থ শহীদ আবু সাঈদ মুক্ত মঞ্চের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলা সভাপতি মো: আসিফ ইকবাল-এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ উদ্দীন-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো: রিয়াজুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহজালাল রানা ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজারে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকানি দিয়ে রাস্তা অবরোধ ও উত্তোজনামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। তখন সংঘর্ষ প্রতিহত করতে গিয়ে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও বিক্ষোভ চলাকালে পাহাড়ের চূড়া থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালনার ফলে রামসু বাজারে তিন জন সাধারণ পাহাড়ি যুবক — আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা — নিহত হন। বক্তারা দাবী করেন, ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি দায়ী ইউপিডিএফ সশস্ত্র নেতৃত্ব ও তাদের ক্যাডারদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ফলেই এ ধরনের ঘৃণাত্মক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। তারা বলেন, গত কয়েক মাসে স্থানীয় নানা ঘটনা পুঁজি করে ইউপিডিএফ পাহাড়ে সংকট সৃষ্টি করে তাদের স্বায়ত্তশাসনের দাবি শক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে; আর এজন্যই তারা সাধারণ পাহাড়ি জনতাকে উসকানি দিয়ে আন্দোলনে নামায় এবং একইসঙ্গে পাহাড়ের চূড়া থেকে গুলি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে খুন-খারাপি ঘটাচ্ছে। বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ৩০ অক্টোবর ঘোষিত প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি ও অন্য কোনো কর্মসূচি ইউপিডিএফের মিথ্যা প্রচারণাকে জোরদার করতে পারে; তাই সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বলেন, সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ও শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে আসবেন না হলে বৃহৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং অভিযুক্তদের সনাক্তে জাতীয় তদন্ত দাবি করেন। বক্তারা আরও বলেন, যদি প্রশাসন সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে পিসিসিপি কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় সংঘটিত নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় পার্বত্য এলাকায় উত্তেজনা গড়ে উঠেছে; স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে দ্রুত সত্য উদ্ঘাটন ও বিচার দাবি করছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।