বসতঘরের মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার - Southeast Asia Journal

বসতঘরের মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে বসতঘরের মাটি খুঁড়ে দুই লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মাদক কারবারিকে। এ সময় দুটি ওয়ান শুটারগান এবং চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকা থেকে এসব ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার দুজন হলো– কর্ণফুলী উপজেলার শাহ মীরপুর এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) এবং একই এলাকার আব্দুল নুরের ছেলে মো. ছৈয়দ নুর ওরফে রুবেল হোসেন (৩০)।

র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ‘কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসতঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দুই লাখ ২০ হাজার ইয়াবা এবং দুটি ওয়ান শুটারগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ।’

গ্রেফতার আজম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত পাঁচ-ছয় বছর আগে থেকে সে ইয়াবা ব্যবসার জড়িত। প্রাথমিক অবস্থায় সে ইয়াবা ট্যাবলেট সরবরাহের কাজ করতো। পরে নিজেই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। ইয়াবার বড় চালান তার বসতবাড়ির একটি টিনশেড ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে রাখতো। এ ছাড়া দেশে তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ মাটি চাপা দিয়ে মজুত করে রাখতো। পরে সেখান থেকে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করতো।

জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, উদ্ধার অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতো। পাশাপাশি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতো। উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সে বাশঁখালীর কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বলে জানায়।

সে আরও জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারিভাবে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধার মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।