বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে হত্যা: ৬ দিন পর লাশ ফেরত পাঠাল বিএসএফ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ৬ দিন পর মরদেহ ফেরত পাঠিয়েছে বিএসএফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানার অভ্যন্তরে বিজয়পুর এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
মোনাজাত আলী দামুড়হুদা উপজেলার ছোটবলদিয়া গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে।
গত ৮ অক্টোবর শনিবার রাতে মোনাজাত আলী ছোটবলদিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মহিষ আনতে যায়। মহিষ নিয়ে বাংলাদেশের ফেরার সময় রাত ১টার দিকে তাকে লক্ষ্য করে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা বিএসএফের গুলিতে মোনাজাত আলী নিহতের বিষয়টি জানতে পারে। বিএসএফের গুলিতে নিহতের বিষয়টি স্থানীয় বড়বলদিয়া বিজিবি ক্যাম্পে জানায়।
বিজিবি বাংলাদেশি হত্যার বিষয়ে জানতে চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়।
শুক্রবার সন্ধায় ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানা ও বিজয়পুর বিএসএফ ক্যাম্প মোনাজাত আলীর লাশ হস্তান্তরের জন্য নিয়ে আসেন সীমান্তের বিজয়পুর এলাকার ৮১ নং মেইন পিলারের কাছে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে। বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির এডি ইমরান হোসেন ও দর্শনা থানার ওসি অপারেশন নিখিল অধিকারী লাশ গ্রহণের জন্য যান।
বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর লাশ ফেরত দেয়। বিজিবি লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নেওয়ার পর পুলিশের সহায়তায় নিহতের চাচা ওলি মণ্ডলের হস্তান্তর করে। রাতেই গ্রামের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
ভারতের পক্ষে লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর মহেশ রায়, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ ববিন মূখার্জি ও বিএসসির সুবাষ রায়।
দর্শনা থানার ওসি অপারেশন বলেন, বিজিবি লাশ গ্রহণ শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে।