বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত থাকার আগ্রহ চীনের
নিউজ ডেস্ক
উন্নয়ন সহযোগী চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গাং এই আগ্রহের কথা জানান।
আফ্রিকা যাওয়ার পথে ঢাকায় এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ছিন গাংকে স্বাগত জানান।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে চলছে ও এর উন্নয়ন অভাবনীয় এবং চীন এর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়। চীনের মন্ত্রী জানিয়েছেন— রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যোগান ব্যহত হচ্ছে, আর্থিক লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে এবং নতুন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ লাভের পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। এবারের সফরে তিনি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করবেন।
দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তিনি ঢাকা সফর করলেন, ‘এটি আমাদের জন্য ভালো খবর’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় ইস্যু হচ্ছে রোহিঙ্গা এবং এ বিষয়ে চীনারা আমাদের সহায়তা করেছে। সেই সহায়তা অব্যহত থাকবে বলে তিনি অঙ্গীকার করেছেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন— মিয়ানমারে কিছু অসুবিধা আছে। সেজন্য এটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।‘
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ১৪০০ কোটি ডলার কিন্তু এরমধ্যে চীনের রফতানি ১৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশকে ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল চীন। কিন্তু এটির এখনও গেজেট না হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায়ীরা এর সুবিধা পাচ্ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনার পরে চীনের মন্ত্রী জানিয়েছেন— এটি তিনি করবেন।’
বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্পে চীন যে কাজ করছে সেটি যেন আরও ত্বরান্বিত হয়, সেটির জন্য আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।