চাঁদা না দিলে কাপ্তাই লেকে জাল ফেলা যাবেনা- পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হুমকি - Southeast Asia Journal

চাঁদা না দিলে কাপ্তাই লেকে জাল ফেলা যাবেনা- পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হুমকি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কাপ্তাইয়ে চাঁদা না দিলে লেক থেকে মাছ আহরণ করা যাবেনা বলে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় একটি পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। কেবল তাই নয়, পুরো টাকা না দিলেও লেকে জাল ফেললে সবাইকে দেখিয়ে নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরাদম ও বালুখালি এলাকার মাছ ব্যবসায়ীদের।

এই ঘটনায় কাপ্তাই লেকের অধিকাংশ জেলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১৩ই জানুয়ারী প্রভাবশালী ওই গ্রুপের পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হয় তাদের কাছ থেকে। এই দাবীর পর ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুরো টাকা না পাওয়ায় এ্রখন থেকে মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছে অনেকেই।

এর আগে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সমিতির সদস্যদের টাকা দাবী করেন জনি চাকমা নামের একব্যক্তি। যিনি গ্রুপটির কালেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন। মাছ ধরার শর্তে তাকে ১০ লাখ টাকা পাঠানো পর বাঁকি পাঁচ লাখ টাকা এখনই না দিলে কোনভাবে লেকে জাল ফেলা যাবেনা বলে তিনি সহ অন্যরা জানিয়ে দেন। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ভীতি প্রদর্শন করতে কাপ্তাইয়ের মগবান ইউনিয়নের বরাদম আওলাদ বাজার এলাকায় মাছ ধরার সময় জেলেদের সব মাছ লেকে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। কাপ্তাই লেকে মাছ আহরণের মৌমুমে আঞ্চলিক দল গুলোকে চাঁদা প্রদান না করলে প্রায়শয় এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে মোকাদ্দেছুর রহমান নামের একজন স্থানীয় জেলে জানান।

মো. জসিম উদ্দিন নামের কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায় সমিতির একজন নেতা ইতোমধ্যে পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপ থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের রক্ষার জন্য একাদিকবার গণমাধ্যমে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

মৎস্য শ্রমিক আলাউদ্দিন, নাদির মিয়া, তোফাজ্জেল আবেদিন সহ আরও অনেকে আফসোস করে বলেন জীবনে মাছ সংশ্লিষ্ঠ ছাড়া কোন কাজই শিখিনি। এখন মাছ ধরা বন্ধ হলে আমরা খার কি! সংসার চালাব কেমন করে-প্রশ্ন করেন তারা প্রত্যকে।