জান্তা সরকারের দুই বছর: মিয়ানমারে বেড়েছে দমন-পীড়ন - Southeast Asia Journal

জান্তা সরকারের দুই বছর: মিয়ানমারে বেড়েছে দমন-পীড়ন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের জান্তা সরকার গত দুই বছর ধরে বিরোধীদের ওপর বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার এ কথা জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, মিয়ানমারে মৌলিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিদেশি রাষ্ট্রগুলো একজোট হয়ে জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো উচিত।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার দুই বছর বুধবার পূর্ণ হচ্ছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জান্তা সরকার তাদের বিরুদ্ধে কাউকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। গণমাধ্যম, সভা-সংগঠন সব কিছুর ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তাকারী সংস্থার হিসাবে মিয়ানমারে গত দুই বছরে অন্তত ১৭ হাজার বিক্ষোভকারী এবং অধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জান্তা সরকারের হাতে ২৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, যৌন সহিংসতা, গণহত্যা এবং অন্যান্য হয়রানি চালিয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়ে দুই বছর পার করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের সমান অপরাধ করে যাচ্ছে তারা।’ আগামী আগস্ট মাসে জান্তা সরকার দেশে নির্বাচন দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। পিয়ারসন বলেন, ‘আগস্টে জালিয়াতির নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে না গিয়ে বরং মিয়ানমারের জেনারেলদের তাদের অপরাধের জন্য শাস্তির মুখোমুখি করা উচিত।’ যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ জানায়, শুধু গত অক্টোবর মাসে মিয়ানমারে প্রায় ৫০০টি আক্রমণ বা সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মিয়ানমারের বিশ্লেষক এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সিনিয়র উপদেষ্টা রিচার্ড হরসি বলেছেন, কোনো সামরিক সমাধান তো দূরে থাক, রাজনৈতিক সমাধানও সুদূর পরাহত বলে মনে হচ্ছে।

আরও বড় সহিংসতা উসকে দেবে
এদিকে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচন দেশটিতে আরও বড় সহিংসতা উসকে দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হেইজার। মঙ্গলবার তিনি জানান, সামরিক সরকার পরিচালিত নির্বাচন মিয়ানমারে আরও বড় সহিংসতায় ইন্ধন জোগাবে। সংঘাতকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। দেশটিতে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতায় ফিরে আসার পথকে আরও কঠিন করে তুলবে।