মার্কিন সমর্থনপুষ্ট এশিয়ান সামরিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত মিয়ানমার - Southeast Asia Journal

মার্কিন সমর্থনপুষ্ট এশিয়ান সামরিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত মিয়ানমার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কো-চেয়ারে আয়োজিত একটি আঞ্চলিক সামরিক সম্মেলনে দু’বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আমন্ত্রিত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) ১০ সদস্য ছাড়াও সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

পাঁচ দিনের আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টার্স মিটিং প্লাস (এডিএমএম-প্লাস) এক্সপার্টস ওয়ার্কিং গ্রুপ অন মেরিটাইম সিকিউরিটি সম্মেলন ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এর যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। মার্টিন মেইনার্স বলেন, আসিয়ান ফোরামে কারা অংশ নেবে, এটি জোটের সদস্য দেশগুলো ঠিক করে থাকে।

নিরপেক্ষ অনলাইন পাবলিকেশন মিয়ানমার নাও জানিয়েছে, সম্মেলনে উদ্ধার, জলদস্যূতা, মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার ও আদম পাচারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লে. কর্নেল মার্টিন মেইনার্স মিয়ানমার নাওকে বলেন, আগামী মাসের বৈঠক ও অনুশীলনে অংশ নিতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ পেয়েছে। আসিয়ান প্রটোকল অনুযায়ী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির নেতারা নানা ধরনের বিধিনিষেধের মধ্যে পড়েছেন। আসিয়ানের প্রধান সম্মেলনে মিয়ানমারের সামিরক বাহিনীর প্রতিনিধিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের’ সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চলতি বছরই আসিয়ানের পর্যায়ক্রমিক সভাপতি হতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। তখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষুব্ধ এনইউজি
এদিকে, এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) নামে পরিচিত মিয়ানমারের ছায়া সরকার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এনইউজির স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী জ ওয়াই সোয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি ‘মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সামরিক শাসনের দুই বছর’ শীর্ষক এই হাইব্রিড সেমিনারে অংশ নেন।

এসআইপিজির ওয়েবিনারে এ নিয়ে জানতে চাইলে এনইউজির স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী জ ওয়াই সোয়ে বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নই। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। মিয়ানমারে গণহত্যায় জড়িত একটি ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে বৈঠকে নেওয়ার বিষয়টি আমরা ভাবতেও পারি না। আমরা কোনো পরাশক্তির ওপর নির্ভর করব না।’