রংপুরে ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়কার’ গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী
 
                 
নিউজ ডেস্ক
রংপুর মহানগরীর ঘাঘট নদ থেকে উদ্ধার হওয়া হ্যান্ড গ্রেনেডটি তিনদিন পর নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর দমদমা বধ্যভূমির অদূরে গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদের জানান।
শুক্রবার দমদমা সেতুর নীচে ঘাঘট নদে গোসল করতে নেমে তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ গ্রেনেডটি পান। তিনি সেটি বাড়ি নিয়ে যান। তিনি জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে সেটি সংরক্ষণ করে। পরে আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়।
গৃহবধূ তাহমিনা বলেন, “গোসলে নামলে পায়ের নীচে কিছু একটা অনুভব হয়। এরপর তুলে লোহার বস্তু মনে করে সেটি ভালো করে পরিষ্কার করি, দোকানে ওজন মাপার কাজে ব্যবহার করব বলে। পরে বাড়ি নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার হাতে থাকা বস্তুটি গরম হতে থাকলে আশপাশের লোকজন ডাকি। তারা বলে, এটি গ্রেনেড।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আনসারের প্রশিক্ষণের সময়ে এমন গ্রেনেড দেখেছিলাম। তাই এটিকে পানিতে রেখে দিই।”
ওসি নাজমুল বলেন, সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেডটি দুই ঘণ্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে গর্ত করে গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর বিশেষ পদ্ধতিতে গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
“উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। মুক্তিযুদ্ধের সময় দমদমা এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত হাজার হাজার মানুষকে ধরে এনে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করে। অনেককে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল। সরকারিভাবে দমদমার ওই এলাকাটি একাত্তরের বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।”
