দেড় দশক ধরে চাকমা পরিবারের দখলে কলেজ ছাত্রাবাস
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন দীঘিনালা সরকারি কলেজ দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত ছাত্রাবাস এখন চাকমা পরিবারের দখলে।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে বেসরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রি কলেজ ১৯৮৬ পাহাড়ের বিরাজমান পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু কল্পরঞ্জন চাকমা, খাগড়াছড়ি আসনের বর্তমান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তৎকালীন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসবিআইএম শফিক উদ-দৌলা, দীঘিনালা জোন ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় পুনরায় কলেজটি চালু করা হয়। ২০০০-২০০১ সালে ডিগ্রি পাশ কোর্স চালু হওয়ার পর শিক্ষার মান ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় পার্শবর্তী রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ির শিক্ষার্থীরাও আসতে থাকে এ কলেজে। এমনকি ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে চট্টগ্রাম বোর্ডের ভালো ফলাফলের মাধ্যমে সেরা কলেজের জায়গা দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। কলেজটিকে বর্তমানে সরকারি করন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাউবি উচ্চ মাধ্যমিক কোর্স চালু রয়েছে কলেজটিতে। ২০০০-২০০১ সালের দিকে দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজে একটি ছাত্রাবাসের প্রয়োজন হয়ে ওঠে। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০০২ সালে কলেজ থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে যৌথ খামার (জামতলী) এলাকায় একটি স্থায়ী ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। ছাত্রাবাসটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিন তলা বিশিষ্ট করার পরিকল্পনা থাকলেও এক তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে নির্মাণের ১৭ বছর পরেও চালু হয়নি ছাত্রাবাসটি।
বর্তমানে ছাত্রাবাসটিতে চাকমা সম্প্রদায়ের কিছু পরিবার বসবাস করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মন্টু বিকাশ চাকমা গনমাধ্যমের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, বিষয়টিতে কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদের কয়েকজন সদস্য জড়িত রয়েছে। তার দাবি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানে না দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের একটি
নিজস্ব ছাত্রাবাস রয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, দ্রুত প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতে নিয়ে ছাত্রবাসটি সংস্কারপূর্বক চালু করা না হলে কলেজের এই সম্পত্তি একসময় কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
