মাদক নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম - Southeast Asia Journal

মাদক নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভয়াবহ মাদক ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন পাচারের নতুন নতুন পন্থা নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে অন্যান্য দেশগুলোতে ‘ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন বা ‘আইস’ নামের এই মাদক পাচার হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশের কথাও।

থাইল্যান্ড ও চীনের স্থলপথে তল্লাশির কারণে অপরাধীরা এখন সমুদ্রপথে মাদক পরিবহন করছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক অফিস জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা এখন পূর্বানুমান করতে পারে, মানিয়ে নিতে পারে এবং ছড়িয়েও পড়তে পারে। ছড়িয়ে পড়া এসব মাদক জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বিক্রি করা হয়।

মিয়ানমারের সুপার ল্যাবে তৈরি মেথামফেটামিনের ছড়িয়ে পড়া থামানো যাচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় মাদকের বাণিজ্যও বেড়েই চলেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এসবের মূলে আছে মিয়ানমারের শান রাজ্য। এটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেথ ব্যবসার কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। মাদক পাচারকারীরা লাওসের সীমানা, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মেথ পাচার করে থাকে। এই এলাকাটিকে ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রাদেশিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ‘তাদের আমরা ২০২২ সালে থাই সীমান্তে বেশি কাজ করতে দেখেছি। পাচারকারীরা বড় পরিমাণের মাদক লাওস ও উত্তর থাইল্যান্ডে পাচার করাও অব্যাহত রেখেছে। একইসঙ্গে তারা মধ্য মিয়ানমার থেকে আন্দামান সাগর পর্যন্ত সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

সাধারণত দুটি উপায়ে এই মেথ আসে। একটি ইয়াবা আরেকটি হলো ক্রিস্টাল মেথ। অপরাধীরা থাইল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে মাদক সরবরাহের রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এসব উন্নত দেশে মাদকের দাম ব্যাংককের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

প্রচুর পরিমাণে মেথ বাংলাদেশ, ভারতেও আসে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর থাই ও চীনা নিরাপত্তা কর্মীরা যে মাদক আটক করতে সক্ষম হয়েছেন তা আগের বছরগুলোর তুলনায় কম।

পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার পুলিশ ২০২২ সালে ১৫১ টন মেথ উদ্ধার করেছে। এর আগে ২০২১ সালে রেকর্ড ১৭২ টন মেথ উদ্ধার করা হয়। মেথ উদ্ধারের পরিমাণ কমলেও এক কেজি মেথের বর্তমান দাম ইতিহাসে এত কমেনি। অর্থাৎ মেথের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে, এটা পরিষ্কার।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাদক পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমুদ্রপথে মাদক পাচার করছে। থাই মাদক নিয়ন্ত্রণ এজেন্টরা সমুদ্রপথের চালানগুলো ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ২৭ দশমিক ৪ টন কেটামিন উদ্ধার করেছে। যা ২০২১ সালের চেয়ে ১৬৭% শতাংশ বেশি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক স্থানে গোপন কেটামিন ল্যাবরেটরি, প্রক্রিয়াজাত করার গুদাম এবং সংরক্ষণাগার গভীর এক অশনি সংকেত দিচ্ছে। কম্বোডিয়ায় এমন একটি ল্যাব আছে যা বিশাল আকারে কেটামিন তৈরি করতে সক্ষম। কেটামিন একটি পার্টি ড্রাগ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা হয়। রিপোর্টে কম্বোডিয়াকে মাদক পাচারের অন্যতম ট্রানজিট এবং উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে আশঙ্কা করা হয়েছে।