মিয়ানমার কারাবন্দিদের বর্বর নির্যাতন - Southeast Asia Journal

মিয়ানমার কারাবন্দিদের বর্বর নির্যাতন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে দেশটির সবচেয়ে বড় কারাগার ইনসেইনে বন্দিদের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। এখানেই রয়েছে একটি জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্র। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন ও সেনাসমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয় সেখানে। এরপর এমন বর্বর নির্যাতন চালানো হয়, যার পর অনেকে পঙ্গু এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃত পর্যন্ত হয়ে যায়। যে কারণে পরিচিতজনের নামও বলতে পারেন না অনেক বন্দি।

লোমহর্ষক এসব তথ্য ও বর্ণনা বেরিয়ে এসেছে ওই কারাগার ও জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে ছয় মাস বন্দি থাকা এক অঙ্কনশিল্পীর আঁকা ছবিতে। মাউং ফু নামে ওই ব্যক্তির আঁকা ছবি এখন প্রদর্শিত হচ্ছে থাইল্যান্ডের একটি প্রদর্শনীতে।

কারাগারটিতে অনেক রাজবন্দিও রয়েছেন। তবে সেনাসমর্থিত সরকারের বিরোধী অনেককে তুলে নেওয়ায় বন্দির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাঁদেরই একজন পে ওয়াই হালাইং।

২১ বছর বয়সী এই ওয়াই-ফাই টেকনিশিয়ান নিখোঁজ হয়েছিলেন ২০২১ সালে। এরপর তাঁর বাবাকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোন করে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি দোকানে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর এক টং দোকানদার তাঁকে জানান, তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তিনি খবরটি বেশ কিছুদিন পর পত্রিকায়ও দেখতে পান। হালাইং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন।

২৯ সদস্যবিশিষ্ট এই গ্রুপের অপর সদস্য প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষার্থী সি থু অংকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দুই তরুণই গুলাগে নিখোঁজ থাকেন বেশ কিছুদিন। কারাগারটি কয়েক দশক ধরেই বন্দিশালা ও জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রের নামে নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

এরপর সাত বছরের দণ্ড দিয়ে প্রথমবার তাঁদের পাঠানো হয় ইনসেইন কারাগারে। এটি ধারাবাহিক সামরিক সরকারের কর্তৃত্ববাদ ও দমনপীড়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বন্দিদের পরিবার জানিয়েছে, ওই কারাগারে স্বজনকে ভালো রাখতে গহনা বিক্রি, এমনকি নিজেদের বসতভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।