সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক হল বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ

নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হল বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সাড়ে ১২টার পর সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে জানা গেছে। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে ভোররাতে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি ও জীবন নগরের মধ্যবর্তী স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র হতে নীলদিগন্ত পর্যটন কেন্দ্রের মাঝ খানে গ্যালেঙ্গা ঝিড়ির শেষ মাথায় ২৩ কিলো নামক স্থানের গতকাল রাতে পাহাড় ধসে সড়কের মাঝ খানে বড় একটি পাথর পড়ার কারনে বান্দরবান -থানচি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬ ইসিবি ও থানচি ফায়ার সার্ভিস যৌথ ভাবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে প্রচেষ্টায় পাথরটি সরাতে সক্ষম হয়েছে।
থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিমলিডার তরুন জ্যোতি বড়ুয়া জানান, সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে কিন্তু রাস্তায় মাটি জমে থাকায় খুবই রাস্তা এখনো খুব পিচ্ছিল। রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় মোটসাইকেলসহ চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এই কমকর্তা।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, গতকাল মাঝ রাতে অতিবৃষ্টির কারণে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি ও জীবন নগরের মাঝামাঝি এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে অনেক বড় একটি পাথর পড়ে। এতে থানচির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে থানচি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পাথরটি সরাতে কাজ শুরু করে। কিন্তু বড় পাথর সরানোর মতো যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা ব্যর্থ হয়। পরে পাথরটি সরাতে সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে দুপুরের মধ্যেই সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এদিকে অনবরত বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যেতে পারে জেলা সদরের নিম্নাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখর জানান, অনবরত বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা আর এই কারণে পৌরসভার পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।