প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে ফের নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প! - Southeast Asia Journal

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে ফের নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার থাইংখালী ১৯নং ক্যাম্প সংলগ্ন লন্ডাখালীর বনভূমির বিশাল এলাকা জুড়ে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, এনজিও সংস্থা একতা ও মুসলিম হ্যান্ডস প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় শতাধিক পরিবারে শত বছরের ভোগ দখলীয় ফলজ, বনজ বাগান উচ্ছেদ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ও সৃজিত বাগান উচ্ছেদ করে স্থানীয়দের আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কতিপয় এনজিও সংস্থা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বণ করে বাধাঁগ্রস্থ করছে। তাদের ইন্দন যোগাচ্ছে তারা যেন মিয়ানমারে ফিরে না যায়। পাশাপাশি নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওইসব এনজিও গুলো দীর্ঘ সময় দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থকড়ি লুটপাট করতে পারে। তিনি বলেন, লন্ডাখালী এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করা হলে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাধাঁ দেওয়া হবে।

তবে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছে। এরই মধ্যে এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ক্যাম্পে উন্নয়ন কাজ করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন করে বাড়ীঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নতুন করে কিছু ঘরবাড়ি নির্মানের কথা আমি শুনেছি। তবে অফিসিয়ালি ১৯ নং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের ব্যাপারে আমার জানা নাই।