কতদিনে জম্মু ও কাশ্মিরকে সাধারণ রাজ্য ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে, প্রশ্ন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের - Southeast Asia Journal

কতদিনে জম্মু ও কাশ্মিরকে সাধারণ রাজ্য ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে, প্রশ্ন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কতদিনে জম্মু ও কাশ্মিরকে সাধারণ রাজ্য ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে? মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কেন্দ্রের কাছে তার সময়সীমা চেয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এটি দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (ইউটি) বিভক্ত। শুধু তাই নয়, এ স্থানের উন্নয়নের একটি রোডম্যাপও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করা একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানি করছে ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। এ ৩৭০ ধারার মাধ্যমে এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর।

শুনানির সময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরকে জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পদক্ষেপ একটি ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’। এ দুটিকে ভবিষ্যতে একটি রাজ্য হিসেবে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই থাকবে লাদাখ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠকের অপেক্ষা। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনো ‘ইতিবাচক বিবৃতি’ দিতে সক্ষম হবেন।’

এদিকে, তুষার মেহতার যুক্তি খতিয়ে দেখে বেঞ্চ পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘এটা ঠিক কতটা অস্থায়ী? জম্মু ও কাশ্মীরে কবে নির্বাচন হবে? কোনো রোডম্যাপ থাকলে তা দেখাতে হবে। আপনি কীভাবে একটি রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করতে পারেন এবং কতদিন ধরে এটি এমনভাবে থাকবে তা জানাতে একটি বিবৃতি দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ।’

সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘২০২০ সালে জম্মু ও কাশ্মিরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের (ডিডিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথম নির্বাচন ছিল সেটি।’

৩৭০ ধারা বাতিলের আগে এবং পরে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি তুলে ধরে তুষার বলেন, ‘হরতাল, হামলা ও অশান্তির কারণে ব্যাংক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বারবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। যখন রাজ্য পুনর্গঠিত হবে, তখন তরুণদের কীভাবে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে, সরকার কীভাবে কাজ করবে তার একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, জওহরলাল নেহেরুর সময়ে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মিরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এটি বাতিলের ফলে অবধারিতভাবে সংবিধানের ৩৫-ক ধারারও বিলুপ্তি ঘটে।