হাসপাতালের জমি কর্মচারীর দখলে! - Southeast Asia Journal

হাসপাতালের জমি কর্মচারীর দখলে!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জমি ও কোয়ার্টার গত এক দশক ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে চৌমুহুনীতে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ হয়। পুরাতন হাসপাতালের টিনসেড কোয়ার্টারগুলোতে তৎসময়ে কয়েকজন কর্মচারী বাসা ভাড়া নেন। এ ধরনের ভাড়াটিয়ার একজন হলেন হাসপাতালের আয়া জোহরা বেগম। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। আয়া জোহরার স্বামী হচ্ছেন একই হাসপাতালের এ এইচ আই ইয়াছিন শরীফ। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের পরিকল্পনায় ভাড়া নেয়া একটি কোয়ার্টার দখলে নিয়ে তারা আর ভাড়াও পরিশোধ করছেন না। কয়েক বছর পূর্বে পুরাতন হাসপাতালের একাংশে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভবন নির্মাণের সময় ইয়াছিন-জোহরা দম্পতিকে উচ্ছেদ না করে পুরাতন হাসপাতালের জমির মাঝখানে ভবন নির্মাণ করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা ভবনে উত্তর পাশে হাসপাতালের ১০ শতক জমি এখন তাদের দখলে রয়েছে। দখল করা হাসপাতালের কোয়ার্টার ও জমি কুক্ষিগত করতে এ এইচ আই ইয়াছিন শরিফ ইতোমধ্যে একটি হেডম্যান রিপোর্ট তার অনুকূলে সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। অথচ প্রচলিত নিয়মমতে পার্বত্যাঞ্চলের বাইরের লোক হিসেবে তার এ ধরনের রিপোর্ট পাওয়ার কথা নয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে তৎকালীন ইউএনও আসাদুজ্জামান স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন-জোহরার দখল থেকে জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। প্রক্রিয়া শেষে সে সময় জেলা প্রশাসক একটি উচ্ছেদ করার আদেশ দেন। কিন্তু পরে ইউএনও আসাদুজ্জামান বদলি হওয়ায় সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে অভিযুক্ত ইয়াছিন শরীফের দাবি, এ জমি খাস। হেডম্যান রিপোর্ট নিয়ে তিনি দখলে আছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে উদ্যোগ নিয়েও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এএইচআই) ইয়াছিন শরীফের দখল থেকে হাসপাতালের ১০ শতক জমি উদ্ধার করা যায়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু বলেন, ইতঃপূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফের দ্বারা আলীকদমের পুরাতন হাসপাতালের জমি জবর দখলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত পরবর্তী আদেশের জন্য সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আমি পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে উদ্যোগ নেবো।