মিয়ানমারের রাখাইনে ফের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করেছে সেনাবাহিনী
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম।
সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের সময় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি তবে এরা রোহিঙ্গা কিনা নির্দিষ্ট করে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার চাপে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরের অবস্থা সংকটপূর্ণ ও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যেই, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্ট।
রাখাইনে দু সপ্তাহ আগে নিরাপত্তার অজুহাতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। শুক্রবারও আরাকান আর্মির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এরপরই মিয়ানমার সেনারা রাথেগাং ও আমিয়েত তাং এলাকায় নির্বিচারে স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানায় সেখানকার বাসিন্দারা।
গোলাগুলি ও গ্রামে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি মার্কিন গণমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়াকে নিশ্চিত করেছেন রাথেদাং ও পোন্যাগ্যুনের সংসদ সদস্য খিন মং।
একইরকমভাবে ২০১৭ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তবে রোহিঙ্গাদের চাপে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরের অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানকার পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে শুক্রবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মুখপাত্র বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার চাপে পরিবেশ বিপর্যয় ও ভূমিধ্বস ঠেকাতে আশ্রয় কেন্দ্রের ২শ হেক্টর জমিতে বনায়ন করবে জাতিসংঘ।