কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, দুর্ভোগে লাখো মানুষ - Southeast Asia Journal

কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে এখন সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০৮ দশমিক ৩ ফুট লেভেলে অবস্থান করছে। পানি বাড়ায় রাঙামাটি জেলার অনেক এলাকার রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ২ হাজার অধিক পরিবার। এছাড়াও দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।

রাঙামাটি শহরের ব্রাহ্মণ টিলা, হাসপাতাল এলাকা, রাঙাপানির নুও আদাম, লুম্বিন, আলুটিলার যাতায়াতের সড়ক ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ৪০০ পরিবার।

এছাড়াও তবলছড়ি, পুরানবস্তি, পাবলিক হেলথ, রাজদীপ এলাকায় মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠে দুর্বিষহ দিন পার করছে দুর্গতরা। পানি না ছাড়ায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন তারা।

রাঙামাটি হাসপাতাল এলাকার মো. রাজু (২২) বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে পানি উঠেছে। যাতায়াতের রাস্তা ডুবেছে। খুব দুর্ভোগে আছি। পানি উঠায় ঘরে চুলা জ্বলছে না। বাথরুম করা যাচ্ছে না। কলেজে যেতে পারছি না। শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে’।

একই এলাকার বাসিন্দা নাজমা (২৫) বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়া যাচ্ছে না। রাতে ঘুমাতে পারছি না। কখন পানি বাড়ে এ আতঙ্কে রাত জেগে থাকতে হয়। গত ১৫ দিন ধরে এ অবস্থা’।

গত শুক্রবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য কাপ্তাই বাঁধের স্লুইস গেটের ১৬টি দরজা দিয়ে পানি ছাড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এরপর আবার বন্ধ করে দিলে বাড়তে থাকে পানি। পানি ছাড়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

পানির অবস্থা ও ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘বার বার পানির খবর জানতে চান কেন? পানি পানি ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। যারা পানিতে ডুবে গেছে সেটা তাদের কারণে ডুবে গেছে। মানুষের বাড়িঘর ডুবে গেলে আমাদের কি করার আছে? আমাদের কিছু করার নেই’।

পানি বাড়ার কারণে জেলায় অনেক এলাকার সড়ক ডুবে গিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে বাগান, ধান ক্ষেত ও ফসলি জমি। পানি ছাড়া না হলে দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।