পঞ্চগড়ে সীমান্ত থেকে ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করল বিজিবি - Southeast Asia Journal

পঞ্চগড়ে সীমান্ত থেকে ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করল বিজিবি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় আরও দুটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৫ এর ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে সাধুপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণের বার দুটি জব্দ করা হয়।

উদ্ধার হওয়া বার দুইটির ওজন ২ কেজি ১২৬ গ্রাম। যার বাজার মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬ টাকা। এ নিয়ে উদ্ধার হওয়া বারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২টি।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই বিওপির আওতাধীন প্রধানপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৫ এর ৪ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতে পাচারের সময় ২০টি স্বর্ণের বারসহ জুয়েল (৩২) নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করে বিজিবি। পরে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলোর ওজন ছিল প্রায় ২০ কেজি। যার বাজার মূল্য ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৮ টাকা।

উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ নিয়ে আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম।

এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে কোনো কিছু পাচার হচ্ছে, এমন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে বিজিবির টহলদল। ধাওয়া খেয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তি ভারতের দিকে সীমান্তের শূন্য রেখা অতিক্রম করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি শপিং ব্যাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে দেয়। বিজিবির টহলদল ওই ব্যাগ তুলে তল্লাশি করলে এই স্বর্ণের বার দুইটি পান।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম আরও বলেন, ইতিপূর্বে এই এলাকার সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের খবর পাওয়া গেলেও স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার ঘটনাটি নতুন। এটি একটি বড় চালান ছিল। বিজিবি অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। সীমান্তে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতাকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। চোরাচালানের সদস্যরা কেন এই রুট বেছে নিচ্ছে, এ ব্যাপারে গভীরতর তদন্ত চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ বিজিবি নীলফামারী ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত অধিনায়ক আলী আকবর, সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন, ঘাগড়া বিওপি’র ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নায়েব সুবেদার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।