পার্বত্য চট্টগ্রামে সংরক্ষিত সংসদীয় আসনে বাঙালী প্রতিনিধি মনোনয়নের দাবি - Southeast Asia Journal

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংরক্ষিত সংসদীয় আসনে বাঙালী প্রতিনিধি মনোনয়নের দাবি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দ্বাদশ সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত সংসদীয় আসনে বাঙালী প্রতিনিধি মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে সংগঠনটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, পার্বত্য তিন জেলায় ক্ষমতাসীন সরকার তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহজোট সরকারের মনোনীত তিন জন সংসদ সদস্য উপজাতি। তাছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও আঞ্চলিক পরিষদ সবগুলো সংস্থার প্রধানরা হলেন উপজাতি। অথচ এই পাহাড়ে বাঙালী নামক একটি বিশাল জনগোষ্ঠি রয়েছে। তাদের অধিকারের কথা বলার মতো একাদশ তথা বর্তমান সংসদে একজন প্রতিনিধিও নেই।

তারা বলেন, এখানকার বাঙালীরা আশা করেছিল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে অন্তত একটি আসনে বাঙালী প্রার্থী মনোনয়নর দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। এতে এখানকার বাঙালীরা খুবই মর্মাহত হয়েছে। দ্বাদশ সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার সংরক্ষিত আসনে হলেও যাতে একজন বাঙালী প্রতিনিধি থাকে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারা সমূহ সংশোধন করে চুক্তি পুন:মূল্যায়ন এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠানের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির, সহসভাপতি আবু তাহের, যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক এম রুহুল আমিন, আব্দুল মজিদ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি অসম চুক্তি স্বাক্ষও হয়। সেই চুক্তির ফলে পার্বত্য উপত্যকায় বসবাসরত বাঙালীদের সাংবিধানিক অধিকার তথা তাদের ন্যায্য মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে চরমভাবে।

তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অনিবন্ধিত সংগঠন জেএসএস, ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ (সংস্কার), মগপার্টি (এমএলপি) ও কেএনএফ সহ তাদের অন্যান্য সংগঠন প্রতিনিয়ত নিরীহ বাঙালীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গুম, হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ সহ বর্বরতম সব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বাঙ্গালীদের উপর। এসব বর্বরতায় এবং অত্যাচারে বাঙালীরা হারাচ্ছে তাদের ভিটেমাটি। এমনকি অনেকে হারাচ্ছে তাঁজা প্রাণ। ১৯৯৭ সালে চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এসব অত্যাচার চলে আসছে। অথচ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় ও পত্রপত্রিকায় যেভাবে উপজাতীয়দের অনগ্রসর, পশ্চাদপদ ও অসহায় চিহ্নিত করে একচেটিয়া সুযোগ-সুবিধা শুধুমাত্র উপজাতিদের জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে অনেক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা শুধুমাত্র উপজাতিদের অধিকার, পশ্চাদপদতা, অসহায়ত্বতা নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছে। তারা বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা অনগ্রসর। কিন্তু তার বিপরীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যেসব বাঙালী পরিবার উপজাতিদের চেয়ে অনেক বেশি অনগ্রসর, পশ্চাদপদ ও বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে কোন গবেষণা নেই, নেই কোন রিপোর্ট। প্রত্যক্ষভাবে দেখা যায় নেতৃত্বে, কর্তৃত্বে, ক্ষমতায়, সুযোগ-সুবিধায় ও ধন-দৌলতে সর্বক্ষেত্র উপজাতিদের দখলে। তারা বাংলাদেশের অন্যসব জেলার মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত জীবন-যাপন করছে। শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্যে সর্বক্ষেত্রে তারা বাঙালীদের চেয়ে বহুগুণে প্রতিষ্ঠিত।

আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালীদের জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিষবৃক্ষ হিসেবে পাহাড়ে অশান্তি এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্য সৃষ্টি করে চলেছে।

এরমধ্যে পার্বত্য চুক্তির ‘ক’ খন্ডের ১নং অনুচ্ছেদে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা স্ট্যাটাস (উপজাতীয় অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল) দেয়া হয়েছে। এতে করে চুক্তির শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রাসের তিন জেলা বান্দরবান, রায়ামাটি ও খাগড়াছড়ি’কে দেশের ৬১ জেলা থেকে আলাদা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের ১নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত হবে’। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘উপজাতীয় অধ্যুষিত’ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ঘোষনা করে সমতলের বাকি ৬১ জেলা থেকে আলাদা করা কতটুকু যৌক্তিক…? তাছাড়া এই ঘোষনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫২ শতাংশ ১২লাখ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকেও অস্বীকার করা হয়েছে।

দ্বিতীয়ত পার্বত্য চুক্তির ‘গ’ খন্ড অনুযায়ী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে আঞ্চলিক পরিষদ আইন-১২/১৯৯৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে এই আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হওয়ার পর থেকে ‘অনির্বাচিত’ সন্তু লারমা এই পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি যক্ষের ধনের মতো আঁকড়ে ধরে আছেন। অথচ এই আঞ্চলিক পরিষদ গঠন রাষ্ট্রের একক সত্ত্বার পরিপন্থি, যাহা বাংলাদেশ সংবিধানের ১নং এবং ৫৯নং অনুচ্ছেদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক’। সংবিধানের ৫৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক এককাংশের স্থানীয় শাসনভার প্রদান করা হবে’। তারা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা এবং তার পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা কি ‘নির্বাচিত’ প্রতিনিধি…? পার্বত্য চট্টগ্রাম একক কোন জেলা নয় বরং রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান এই তিনটা জেলার সমষ্টি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আঞ্চলিক পরিষদ আইনের কোন বিধানে ‘প্রশাসনিক ইউনিট’ হিসাবে পরিষ্কার বলা হয়নি।তাই আঞ্চলিক পরিষদকে সংবিধানের ৫৯নং অনুচ্ছেদের লক্ষ্য অর্জনে ‘প্রশাসনিক ইউনিট’ এর ‘স্থানীয় সরকার’ বলা যাবে না।

একইভাবে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত পরিচালনা কার্যক্রমও অসাংবিধানিক। চুক্তির বদৌলতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল একটা প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রকাশ্য আইন দ্বারা নির্দিষ্ট করা ছাড়াই উল্টা স্থানীয় সরকার হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই আঞ্চলিক পরিষদ ও এর আইন এই ক্ষেত্রে সংবিধানের আওতা বহির্ভূত বিধায় মহামান্য হাইকোর্ট আঞ্চলিক পরিষদকে অবৈধ ঘোষনা করেছে। বর্তমানে মামলাটি মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট এর অ্যাপিলেড ডিভিশনে বিচারাধীন।

তৃতীয়ত পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খন্ডের ২৬(ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক পার্বত্য জেলার এলাকধীন বন্দোবস্তযোগ্য খাসজমিসহ কোন জায়গা-জমি ইজারা প্রদানসহ বন্দোবস্ত, ক্রয়, বিক্রয় ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদকে সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির এই ধারাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৩ন এবং ১৪৪নং অনুচ্ছেদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এছাড়াও, পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন জায়গা-জমি ইজারা প্রদানসহ বন্দোবস্ত, ক্রয়, বিক্রয় ও হস্তান্তর করা যাবে না বলে যে ধারাটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৬নং অনুচ্ছেদের মতাদর্শের পরিপন্থি। কারণ, পার্বত্য চুক্তির এই ধারা মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের অন্য কোন নাগরিক জমি ক্রয় বা বসতি স্থাপন করতে পারছে না।

চতুর্থত পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খন্ডের ২৯ এবং ৩২নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক সরকার জেলা পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোর জন্য কোন আইন, সরকারী গেজেট ইত্যাদি প্রণয়ন করতে পারবেন। উক্ত বিধি প্রণীত হওয়ার পরও পরিষদ কর্তৃক তা পূনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করার বিশেষ অধিকার দেয়া হয়েছে। এমনকি, পার্বত্য জেলায় প্রযোজ্য এমন কোন আইন যদি জাতীয় সংসদে পাশ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয় সেই আইন সংশোধনের বা প্রয়োগ শিথিলের জন্য পরিষদ সরকারের নিকট আবেদন পেশ করতে পারবে। পার্বত্য চুক্তির এই ধারাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৮০নং অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।

পঞ্চমত পার্বত্য চুত্তির ‘খ’ খন্ডের ৪ (ঘ) এবং ৯নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন ব্যক্তিকে ভোটার হতে হলে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফ কর্তৃক প্রদত্ত ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ সনদপত্র গ্রহণ করা আবশ্যক। এই ধারাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১২২নং অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। এখানে উল্লেখ্য যে, জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড পদ্ধতি চালু হওয়ার পরও সার্কেল চীফ/জেলা প্রশাসক কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ প্রদান অবান্তর।

মূলতঃ পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি নির্দিষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে। যাতে শুধুমাত্র উক্ত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অপর একটি বৃহৎ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পার্বত্য চুক্তিতে বাংলাদেশের সমতলের জেলাগুলোর মানুষকেও উপেক্ষা করা হয়েছে জমি কেনাবেচা ও বসতি স্থাপনে অন্তরায় সৃষ্টির মাধ্যমে। তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, একটি সুনির্দিষ্ট উপজাতি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে রাষ্ট্রের একটি বিশাল বাঙ্গালী গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। (সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদ: সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী)।

সপ্তমত পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খন্ডের অনুচ্ছেদ ৮(ঘ) মোতাবেক ‘কোন ব্যক্তি অ-উপজাতীয় কিনা এবং হলে তিনি কোন সম্প্রদায়ের সদস্য তাহা সংশ্লিষ্ট মৌজা হেডম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফ স্থির করিবেন এবং এতদসম্পর্কে সার্কেল চীফের নিকট হতে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট ব্যতীত কোন ব্যক্তি অ-উপজাতীয় হিসেবে কোন অ-উপজাতীয় সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হতে পারিবেন না।

এই ধারাটি বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮(১) এর পরিপন্থি। অনুচ্ছেদ: ২৮(১)এ বলা হয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী- পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না’। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির অনেক ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

তারা বলেন, জাতি ও সরকারের নিকট আমাদের আকুল আবেদন এই যে, অসম, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সংশোধন ও সংবিধানের সাথে সাঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিল করে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের আলোকে সকল জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা না হলে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মনে করে।