উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী ফল ব্যবসায়ীকে গুলির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পিবিসিপি
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
রাঙ্গামাটির লংগদু থেকে বিভিন্ন মৌসুমী ফল নিয়ে ট্রাকে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় খাগড়াছড়ির নয় মাইল এলাকায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আঞ্চলিক উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল কর্তৃক গাড়ীর গতিরোধ করে ফল ব্যবসায়ী রূপচান মিয়াকে গুলির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অদ্য ১৮ জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল০৩ঃ০০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার ৭ মাইল নামক স্থানে সড়কের উপর উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক চাঁদার জন্য বাঙ্গালী ব্যবসায়ী কে ব্রাশ ফায়ার করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী রুপচান মিয়াকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, লংগদু হতে কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে তারা চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে এই ঘটনা ঘটায় উপজাতীয় সশস্ত্র একটি গ্রুপের সদস্যরা। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
এ ঘটনায়, তাৎক্ষনিক সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আসাদ উল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন- পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে কিছুদিন পর পরই উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এজাতীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। যার ফলস্বরূপ আজকের এই ঘটনা। আর বারবার এজাতীয় ঘটনাই প্রমাণ করে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জীবন ও জীবিকা কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের এমন ঘৃনীত কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জনজীবন।একটি ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই আরেকটি ঘটনার সূত্রপাত পাহাড়ে নতুন নয়। বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা জুম্মল্যান্ড গঠনের পরিকল্পনার দিকেই ইশারা করে। অবিলম্বে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দের দমন করতে এই মুহুর্ত থেকেই প্রশাসনের শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশ এর সাথে সাথেই উগ্র সন্ত্রাসীরা মাথা চারা দিয়ে উঠে। তার আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডব। এই ঘটনায় অনিরাপত্তায় ভূগছে পাহাড়ের অন্যান্য সকল ব্যবসায়ী সমাজ।
পাশাপাশি আহত রূপচান মিয়াকে সরকারি খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এর পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
