রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর বিরক্ত ইন্দোনেশিয়া - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর বিরক্ত ইন্দোনেশিয়া

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন রোহিঙ্গারা। সাগর কিছুটা শান্ত থাকায় প্রতিবছরই এই সময় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে নৌকায় করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। চলতি সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৪শ’ রোহিঙ্গা। খবর আল জাজিরার।

তবে এবার ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছে এই অভিবাসীদের। তীরে পৌঁছানোর পর তাদের নৌকা থেকে নামতে বাধা দেন স্থানীয়রা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন আশ্রয়প্রার্থীদের থাকতে দেবেন না তাদের গ্রামে। হুমকি দেন নৌকা ঘুরিয়ে দেয়ারও। গত সপ্তাহে সাবাঙ এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তৈরি তাবুও তুলে ফেলেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, বিগত বছরগুলোতে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা।

একজন গ্রামবাসী বলেন, আমরা চাই না, রোহিঙ্গারা আমাদের গ্রামে ঢুকুক। তাই রাতে সবাই মিলে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছিলাম। তারপরও ওরা গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এখন আমরা চাই, যেভাবে সম্ভব ওদের এখান থেকে সরানো হোক। ২০১৫ সালে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সামান্যতম কৃতজ্ঞ থাকার বদলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পালিয়েছে। নানা ধরনের অপকর্ম করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে গ্রামের লোকজনকে। যৌন হয়রানিসহ অন্যান্য অশ্লীল কার্যকলাপেও জড়িয়েছে তারা।

এদিকে, মানব পাচারকারীদের কারণেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন বেড়েছে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। তাই কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন মানবপাচারকারীদের উদ্দেশে। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার। প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’এর সাথে যোগাযোগ করে আপাতত আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবো। তবে এর পেছনে যারা আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর শুধু গত কয়েক সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে প্রায় ১২শ’ রোহিঙ্গা। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে বিশ্বের ৫০ টি দেশের প্রায় ১৩ হাজার শরণার্থীর বাস। যাদের ৮ শতাংশই রোহিঙ্গা।