খাগড়াছড়িতে নৌকার প্রচারণায় হামলা-ফাঁকা গুলি, অভিযোগ ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ভোটের প্রচারণায় ফাঁকা গুলি করেছে সস্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীছড়ির অত্যন্ত দুর্গম, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্কবিহীন বর্মাছড়ির বৈদ্যপাড়া-বটথলীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লক্ষ্মীছড়ি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি করেছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে।’
এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলতি ও ইট-পাটকেলের আঘাত এবং লাঠিপেটায় প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীছড়ির ৩ নম্বর বর্মাছড়ি ইউনিয়নের বটথলীপাড়া এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারীর নেতৃত্বে ২৫টি মোটরসাইকেলে করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫০ নেতাকর্মী খাগড়াছড়ির ২৯৮ নম্বর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির প্রতীক ‘নৌকা’র সমর্থনে নির্বাচনী জনসংযোগ ও প্রচারপত্র (লিফলেট) বিতরণের জন্য যান। এ সময় ইউপিডিএফের (প্রসীত) ২০-৩০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলতি, ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরে আলমসহ ৩৯ নেতাকর্মী পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির খিরাম আর্মি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারীসহ ১১ নেতাকর্মী সন্ত্রাসীদের তাড়া খেয়ে লক্ষ্মীছড়ি সদরে পালিয়ে আসেন।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার দেবু মোবাইলে বলেন, ‘আমরা মোটরসাইকেলে করে বর্মাছড়ির বৈদ্যপাড়ায় নৌকার নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমাদের মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে গুলি করে। আমাদের সঙ্গীদের একটি মোটরসাইকেল গুলিবিদ্ধ হয়। এতে মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মরক্ষার জন্য দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর সময় সন্ত্রাসীদের গুলতির আঘাতে আমি সংজ্ঞাহীন হয়ে বাইক থেকে পড়ে যাই। পরে সন্ত্রাসীরা এসে এলোপাতাড়িভাবে আমাকে মারধর করে তাদের আস্তানায় নিয়ে আটকে রাখে।’
লক্ষ্মীছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ নেতাকর্মীকেও তারা বেদম মারধর করে অনেকক্ষণ আটক করে রাখে তারা। পরে নৌকার হয়ে ভোটের প্রচারণা না করা, তাদের ওপর হামলার ঘটনা কাউকে না জানানো ও থানায় মামলা না করার লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’